
সম্মানিত সূধী,
আসসালামু আলাইকুম
ওরাহমাতুল্লাহ/আদাব,
শিক্ষা মানুষের মৌলিক অধীকার। শিক্ষার মূল লক্ষ্য হল মনুষ্যত্বের বিকাশ, সুপ্ত গুনাবলী জাগ্রত করে তোলা, জাগতিক পরিবেশের সাথে মানুষকে পরিচয় করিয়ে দেওয়া, ব্যক্তি ও সামাজিত জীবনের মধ্যে ঐক্যের সেতু গড়ে তোলা, সুশৃঙ্খল সমাজ ও রাষ্ট্রের ভিত্তি রচনা করা। সর্বোপরি অপরের করুণা ও দান দাক্ষিণ্যের উপর নির্ভরশীল না হয়ে সামাজিক ও অর্কনৈতিক দিক দিয়ে স্বনির্ভরতা অর্জন করা। নির্ভরশীল ব্যক্তি ও জাতির মন-মানসিকতা ও স্বাধীন স্ফূর্তি যেমন স্তব্দ করে দেয়, তেমনি শিথিল করে দেয় কর্মস্পৃহা।
বর্তমান প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যবস্থায় শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন বিষয়ের উপর উচ্চ শিক্ষিত হচ্ছে ঠিকই কিন্তু তাদের নৈতিকতা ও মানবতা বোধ উন্নত হচ্ছে না। সভ্যতার সকল মৌলিক মূল্যবোধ দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে। জাতির এই সংকটকালে সভ্যতা ও ন্যায় নিষ্ঠার ভিত্তির উপর দাঁড়াতে শরীর, মন ও আত্মার সমন্বিত বিকাশ ঘটাতে, অজ্ঞতার অন্ধকার দূর করতে, চিরন্তন ভ্রাতৃত্ব বৃদ্ধি করতে বিশ্বের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় শিক্ষার্থীদের জাগতিক ও আত্বিকভাবে যোগ্য করে গড়ে তুলতে একদিকে যেমনি পর্যাপ্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অভাব অপরদিকে ভালো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আসন সংখ্যার স্বল্পতা, পাশাপাশি বাড়ছে ভর্তিচ্ছু ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা। এতে অনিশ্চয়তা হয়ে যাচ্ছে বিপুল সংখ্যক ছাত্র-ছাত্রীর অনাগত ভবিষ্যৎ। অভিভাবক মহলেও বাড়ছে উৎকন্ঠা। এমতাবস্থায় গতানুগতিকতা পরিহার করে আধুনিক শিক্ষা পদ্ধতির মাধ্যমে নিয়মিত অগ্রগতি যাচাইয়ের জন্য বিভিন্ন পরীক্ষাসহ একঝাঁক তরুণ, দক্ষ, মেধবী, চৌকস ও দায়িত্ববান শিক্ষকমন্ডলীর নিরবচ্ছিন্ন তত্ত্বাবধানে শিক্ষার্থীর স্বপ্ন এবং সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ সাধনকে সামনে রেখে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে দরবেশেরহাট পাবলিক কলেজ। বিশেষ করে দাগনভূঁঞার উত্তরাঞ্চলে ছাত্র-ছাত্রী অনুযায়ী পর্যাপ্ত ভালো কলেজ না থাকায় ছাত্র-ছাত্রীরা ফেনী কিংবা ঢাকা-চট্টগ্রামের বিভিন্ন কলেজে ভিড় জমায়। তাই পুরো দাগনভূঁঞার উত্তরাঞ্চলের ছাত্র-ছাত্রীদের সুবিধার্থে দরবেশের হাট এর কতিপয়, বিদ্যানুরাগী, সমাজসেবক ও গণ্যমাণ্য সূধী মহলের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ঢাকার সমতুল্য শিক্ষার মান অনুযায়ী প্রতিষ্ঠিত দরবেশের হাট পাবলিক কলেজ। ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবক মহলের প্রত্যাশা পূরণে এ কলেজ সদা দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ। দরবেশের হাট পাবলিক কলেজ তার সৃজনশীলতার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে ২০১৩-২০১৪ সেশনে একাদশ শ্রেণিতে (বিজ্ঞান, ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিক শাখায়) পাঠদানে উদ্যোগ গ্রহন করা হয়েছিলো।
আদর্শ ও যোগ্য নাগরিক সৃষ্টির মাধ্যমে সমাজ ও দেশকে আলোকিত করতে দরবেশের হাট পাবলিক কলেজ দৃঢ়ভাবে অঙ্গীকারবদ্ধ। এই কঠিন বন্ধুর পথ পরিক্রমায় সবার সহযোগিতা প্রত্যাশা করছি।
মহান সৃষ্টিকর্তা আমাদের সহায় হোন।
অধ্যক্ষ
দরবেশের হাট পাবলিক কলেজ
কে ডি হাট, দাগনভূঁঞা, ফেনী